Dhaka ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উৎকোচ না দেয়ায় পাটগ্রামে শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ।

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৩৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
  • ৫৪০ Time View

উৎকোচ না দেয়ায় পাটগ্রামে শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ।
সফিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার লালমনিরহাট
এরিয়া বিল পেয়ে মোটা অংকের উৎকোচ না দেয়ায় শিক্ষক কর্মচারী বেতন বিলে স্বাক্ষর না করা, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করাসহ নানান অনিয়ম দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার “নর্থ বেঙ্গল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ” এর অধ্যক্ষ রজিনা খাতুনের বিরুদ্ধে।
এনিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কলেজ সভাপতি ও  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জুন মাসে অধ্যক্ষসহ ৬ শিক্ষক কর্মচারী ৩০ লক্ষ টাকা এরিয়া বিল উত্তোলন করেন। জুলাই ও আগষ্ট মাসের বেতন শিটে স্বাক্ষর নিতে অধ্যক্ষের নিকট প্রভাষক মাহবুব হোসেন বসুনিয়া, মহসিন বসুনিয়া, ফাতিমা বেগম, কম্পিউটার প্রদর্শক রবিউল ইসলাম ও পিয়ন আব্দুল্লাহ যান। এসময় অধ্যক্ষ রজিনা খাতুন কলেজের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের টাকা দিতে হবে বলে তাদের কাছে মোটা অংকের উৎকোচ দাবী করেন। উৎকোচের টাকা ছাড়া তিনি বেতনের এমপিও শিটে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জনান। উৎকোচের টাকা না দেয়ায় ৩ মাস ধরে বেতন বিল বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে শিক্ষক কর্মচারীরা। বেতন বিলের জন্য অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ওই ৫ শিক্ষক কর্মচারী হয়রানি করার জন্য উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ রজিনা খাতুন। এমনকি তাদের চাকরি খাবারও হুমকি দেন তিনি। এছাড়াও ওই কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক (কারিগরি) শাখার ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পুরন বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভাউচার বিহীন অতিরিক্ত ফি নেয়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কয়েক দফা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ পেয়ে কলেজ সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনা তদন্তের জন্য ১৭ অক্টোবর তদন্তে দিন ধার্য করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে দায়িত্ব দেন। কলেজ অধ্যক্ষ রজিনা খাতুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোন কলেজেই টাকা ছাড়া এমপিও হয়না। তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা। তাদের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এ কারণে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।নর্থ বেঙ্গল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন বলেন, এখানে সবেমাত্র যোগদান করেছি। এবিষয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

আলোচিত

বোয়ালমারীতে চার বছর কর্মস্থলে না গিয়েও বেতন ভাতা নিচ্ছে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঝুমা !

উৎকোচ না দেয়ায় পাটগ্রামে শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ।

Update Time : ০৮:৩৭:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

উৎকোচ না দেয়ায় পাটগ্রামে শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ।
সফিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার লালমনিরহাট
এরিয়া বিল পেয়ে মোটা অংকের উৎকোচ না দেয়ায় শিক্ষক কর্মচারী বেতন বিলে স্বাক্ষর না করা, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করাসহ নানান অনিয়ম দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার “নর্থ বেঙ্গল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ” এর অধ্যক্ষ রজিনা খাতুনের বিরুদ্ধে।
এনিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কলেজ সভাপতি ও  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জুন মাসে অধ্যক্ষসহ ৬ শিক্ষক কর্মচারী ৩০ লক্ষ টাকা এরিয়া বিল উত্তোলন করেন। জুলাই ও আগষ্ট মাসের বেতন শিটে স্বাক্ষর নিতে অধ্যক্ষের নিকট প্রভাষক মাহবুব হোসেন বসুনিয়া, মহসিন বসুনিয়া, ফাতিমা বেগম, কম্পিউটার প্রদর্শক রবিউল ইসলাম ও পিয়ন আব্দুল্লাহ যান। এসময় অধ্যক্ষ রজিনা খাতুন কলেজের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের টাকা দিতে হবে বলে তাদের কাছে মোটা অংকের উৎকোচ দাবী করেন। উৎকোচের টাকা ছাড়া তিনি বেতনের এমপিও শিটে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জনান। উৎকোচের টাকা না দেয়ায় ৩ মাস ধরে বেতন বিল বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে শিক্ষক কর্মচারীরা। বেতন বিলের জন্য অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় ওই ৫ শিক্ষক কর্মচারী হয়রানি করার জন্য উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন অধ্যক্ষ রজিনা খাতুন। এমনকি তাদের চাকরি খাবারও হুমকি দেন তিনি। এছাড়াও ওই কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক (কারিগরি) শাখার ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পুরন বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভাউচার বিহীন অতিরিক্ত ফি নেয়ায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কয়েক দফা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ পেয়ে কলেজ সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনা তদন্তের জন্য ১৭ অক্টোবর তদন্তে দিন ধার্য করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে দায়িত্ব দেন। কলেজ অধ্যক্ষ রজিনা খাতুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোন কলেজেই টাকা ছাড়া এমপিও হয়না। তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা। তাদের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এ কারণে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।নর্থ বেঙ্গল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমন বলেন, এখানে সবেমাত্র যোগদান করেছি। এবিষয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ও অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।